আজকের গরম খবর দেখছি যে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হবে ছাত্রছাত্রীরা জিপিএ এর ভিত্তিতে। এইটা আমি মনে করি ১০০% ভুল সিদ্ধান্ত। সব ছাত্রছাত্রীদের গ্রন্থগত বিদ্যা আছে ভাল কিন্তু বাহিরের জ্ঞান তাঁদের অনেকের ই সীমিত। আমি মনে করি, যাদের গ্রন্থগত বিদ্যা আছে তাঁরা ভাল না যারা চারদিক থেকে ভাল তারাই শ্রেষ্ঠ। ভাল ছাত্রছাত্রী ভাল করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু খারাপ ছাত্রছাত্রীদের ও তো ভাল হওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হবে তাই না। পরীক্ষা দিয়ে যারা চান্স পায় তারাই সত্যিকার অর্থে ছাত্রছাত্রী। এই সিদ্ধান্তের কারনে অনেক প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রী পড়ালেখার আগ্রহ হারাবে। যখন একটা ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে না টিকে তখন সে নিজেকে দোষী মনে করে কিন্তু যখন পরীক্ষা ই দিতে পারে না তখন কাকে দোষারোপ করবে নিশ্চয় সেই দেশের কর্তাদের। যারা এইসব খেলা খেলেন। যারা গ্রন্তগত বিদ্যায় ভাল তারাই কি শুধু ভর্তির যোগ্যতা রাখে অন্য কেউ কি নই। তাহলে তো আমার মনে হয় এই হাজার হাজার লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা না করলে ও পারে কারন তাঁরা পড়ালেখা করে ও কোন লাভ নেই ভাল সব জায়গা ভাল ছাত্রছাত্রী দখল করে রাখবে। সারা দিন যারা পড়ালেখা করে ভাল রেজাল্ট করে তাদেরকে আমি ভাল ছাত্র বা ছাত্রী বলতে পারি না। আমি বলব যা পড়ালেখা না করে ভাল রেজাল্ট করে তারাই ভাল কারন তাঁরা মেধাবী। নিজের পাঠ্য বই পড়ে মেধাবী হওয়া যায় না মেধাবী হতে হলে তাকে সব দিক খেয়াল করতে হবে। সব ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ রাখতে হবে। যদি একটি পরীক্ষায় ১০০ জন পরীক্ষা দেয় তাতে যদি ৫০ জনের রেজাল্ট ভাল এবং ৫০ জনের রেজাল্ট খারাপ থাকে তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে ৫০ জন এর রেজাল্ট ভাল তাঁরা সবাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না। খারাপ ৫০ জনের মধ্যে থেকে ১ জন হলে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তাহলে আমি কি বলতে পারি না যে এই সিদ্ধান্তের কারনে ঐ খারাপ রেজাল্ট ধারী ১ টি ছাত্র বা ছাত্রী ভাল হওয়ার সুযোগ হারাল। ঠিক এমনি করে অনেক ছাত্রছাত্রী হতাশ হয়ে যাবে। ভাল ছাত্রছাত্রী কখনও লেখাপড়া থেকে ঝরে পরে না। ঝরে পরে এক মাত্র খারাপ ছাত্রছাত্রীরা। এই সিদ্ধান্ত খারাপ ছাত্রছাত্রীদের ঝরে পরতে সহায়তা করবে। সরকার ঝরে পরার হার কমাতে চাচ্ছে। কিন্তু এটা কি ঝরে পরার হার কমাবার সঠিক পন্থা!!! একটি দেশের উচিত অনেক মূল্যবান সম্পদ তৈরি করা। তাঁদের ছেঁটে ফেলা নই। সারা বিশ্বর দিকে তাকালে দেখা যাবে বিশ্বখ্যাত ব্যাক্তিরা ভাল ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন না পরে তাঁরা ভালদের কাতারে গিয়েছিলেন। অনেক ছাত্র বা ছাত্রীর ইচ্ছা ছোট বেলা থেকে যে সে ডাক্তার হবে কিন্তু সে তেমন রেজাল্ট করতে পারি নি কারন তাকে তাঁর নিজের ভরণপোষণ এর ব্যবস্থা করতে হয়। এই সিদ্ধান্তের কারনে ঐ ছাত্র বা ছাত্রীর আশায় বাধা বুক ভেঙ্গে গেল। এতে সে তাঁর ভাগ্যর দোষ দিয়ে আত্মহত্যা ও করতে পারে তাহলে তাঁর এই আত্মহত্যার দায় কে নিবে। কারো স্বপ্ন ভাঙ্গা কোন দেশের কাজ নই বরং স্বপ্ন দেখানো এবং তা পূরণ করা ই দেশ তথা সে দেশের সরকারের কাজ। পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা তেমন কি সমস্যা। যাদের রেজাল্ট ভাল তাঁরা তো টিকবে ই কিন্তু যাদের রেজাল্ট ভাল দের থেকে খারাপ তাঁরা কি টিকতে পারে না!!!
No comments:
Post a Comment