তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনির (বা থেকে) |
আজ
বাংলাদেশের দুই নক্ষত্রের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এই দিনে গতবছর দুই
কিংবদন্তী তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরকে কেঁড়ে নেয় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। তাঁরা ছিল
বাংলাদেশের সম্পদ। তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশের আরও কিছু পাওয়ার ছিল। কিন্তু
দুঃখজনক হলেও সত্য যে তাঁরা তা বাংলাদেশকে দিতে পারে নি। তাঁদের এই দেয়া যেন বন্ধ
করে দিল প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা। আমারা তাদেরকে ভুলবো না। এই জাতি তথা সারা দেশ
তাঁর কথা স্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমরা আজকের এই দিনে তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা
করছি।
বাংলাদেশের
সড়ক দুর্ঘটনাঃ বর্তমানে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের কৃতি সন্তানদের কেঁড়ে নিচ্ছে। যাদেরকে আর কখনও ফিরে
পাওয়া সম্ভব না। দেশ তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেতে পারত কিন্তু তাঁদের হারিয়ে
যাওয়াতে দেশ একদিন বিপর্যস্ত হয়ে যাবে। কাল থেকে কালান্তরে যদি এইভাবে আমাদের
দেশের কৃতি সন্তানরা হারাতে থাকে তাহলে এই দেশকে কারা নিয়ে যাবে সারা বিশ্বর সাথে
পরিচয় করিয়ে দিতে! বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা একটি প্রধান সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যথাযথ
ব্যবস্থা না নেয়া হলে হইত আমাদেরও এই অবস্থা হতে পারে। আল্লাহ্ না করুক। তারেক
মাসুদ ও মিশুক মুনিরের মৃত্যুর পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রশস্থ করা হয়ে যার কারনে
দুর্ঘটনা কমেছে অনেকাংশে। এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু যদি এই কাজটি আগে করা
হত তাহলে মনে হয় আমাদের তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরকে হারাতে হত না। আমরা চাই দেশের
সব গুলো সড়ক ঝুঁকি মুক্ত করা হোক যাতে করে আমাদের দেশের আর কোন মেধাবী সন্তান মারা
না যায়।