বাংলাদেশ
সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি আমাদের মতে অত্যান্ত সৎ এবং দক্ষ।
তিনি বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারনে ঝামেলায় পড়েছিলেন কিন্তু তিনি তা কোন
ঝামেলা ই মনে করেন নি।
শিক্ষাঙ্গন ও ষড়যন্ত্রঃ বর্তমান
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত। কে বা কারা পিছন দিয়ে কলকাঠি নেড়ে তাদেরকে
উসকানি দিচ্ছে তা বোঝা বড় দায়। গত বেশ কিছু দিন যাবত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করছে। আমরা মনে করি হইত এই পরিস্থিতির পিছনে গভীর
ষড়যন্ত্র রয়েছে। বুয়েট থেকে শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমসি কলেজ
পর্যন্ত এই অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করব
ষড়যন্ত্রকারীদেরকে বের করে বিচারের আওতায় আনার জন্য। দেশে এই রকম পরিস্থিতি চলতে
থাকলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। আমরা বুয়েট এর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত
কে স্বাগত জানায়। যে কোন পরিস্থিতিতে শক্ত অবস্থান দরকার। শিক্ষামন্ত্রী তা ই
করেছেন। কোন সাধারন শিক্ষার্থী আন্দোলন করে না কারন তাঁদের রয়েছে লেখা-পড়া করার
ইচ্ছা। কোন একজন সাধারন শিক্ষার্থী কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না। কারন তাকে ভবিষ্যৎ
সম্পর্কে চিন্তা করতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য ঐসব ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত
মিলিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং নামীদামী শিক্ষক। শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার পিছনে
খানিকটা শিক্ষক ও জড়িত। কারন অনেক সময় তাঁদের অবহেলার কারনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন
করতে বাধ্য হয়। তাই দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া জরুরী। কিন্তু সব চেয়ে জরুরী
ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। রাজধানীর মনিপুর স্কুল সহ অনেক স্কুল
বিতর্কিত হয়েছে। তাদেরকে তাঁদের স্কুলের বেতন কমানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ
দিয়েছিলেন কিন্তু তা কোন কার্যকর হয় নি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা এক একটা স্কুল
শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে অনেক উপরে। এদের তারাতারি লাগাম টেনে ধরতে হবে। এইভাবে চলতে
থাকলে তাঁরা নিজেকে একদিন বাংলাদেশের সরকারের চেয়ে ক্ষমতাবান মনে করবে। দেখা
যাচ্ছে অনেক স্কুল পদ্মা সেতুর নামে ছাত্র-ছাত্রী দের কাছ থেকে অনেক অর্থ তুলে
নিচ্ছে। অথচ সরকারের কোন নির্দেশ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেক ব্যাংকে পদ্মা
সেতুর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছে কিন্তু কোন স্কুলে নই। এইসব প্রতারকদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদয় অনুরোধ জানাচ্ছি শিক্ষামন্ত্রণালয়কে।
কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বইঃ কোচিং
বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে মাঠে নামতে হবে তা না হলে কিছু করা সম্ভব নই। অনেক সময় দেখা
যায় কোন পরীক্ষা দেয়ার আগে ই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে গেছে। আমরা মনে করি তাঁর একটা
মাত্র কারন কোচিং সেন্টার গুলো। এই গুলো মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে সরকারের কিছু
অসাধু কর্মকর্তার সাথে মিলে এইসব করে। একটা ছাত্র জন্মগত ভাবে মেধাবী হয় না তাকে
মেধাবীর পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয়। আর সেই ভূমিকায় কাজ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারের
উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে সদয় নজর দেয়া। যখন একজন শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ
থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পায় তখন ই কোচিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। কারন তাঁদের একটায়
ইচ্ছা ভাল ফলাফল করতে হবে। তাই সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে আগে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের দিকে তারপর আমরা মনে করি কোচিং বাণিজ্য এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে। এখনও
মাঝে মাঝে দেখা যায় আমাদের বেসরকারি কিছু টিভি চ্যানেল গুলোতে বিভিন্ন ধরনের গাইড
বই ও কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন দিতে। তাই সরকারের উচিত এই বিষয়ে কার্যকর মনিটরিং
সেল গঠন করা। যারা ২৪ ঘণ্টা এই ব্যাপারে নিয়োজিত থাকবে। দোকানে
দোকানে এখনও গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার গাইড বই তৈরি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো এখনও
চলছে। অনেক গাইড বইয়ে দেখা যায় অসংখ্য ভুল কিন্তু তা ই ছাত্র-ছাত্রী তা ই পড়ছে।
তাতে করে তাঁরা মেধা বিকাশের পরিবর্তে মেধা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যখন কোন এককালে
গাইড বই ছিল না তখন নিজেরা নোট করে পড়ত এবং অনেক ভাল ফলাফল করত। সেই ফলাফলের মূল্য
ছিল অনেক। কিন্তু সেই মেধা অনেক নিচে নামিয়ে দিয়েছে গাইড বই।
উপরিউক্ত
বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন হয় এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমরা
নিজেরা নিজেদের অবস্থান থেকে সতর্ক থাকলে এই জাতি তথা এই দেশ উন্নতির চরম শিখরে
আরোহণ করবে। উপরিউক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথা সরকারের দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি।
No comments:
Post a Comment